কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় ৭৫ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে আটকের পর ফেরত পাঠিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। এ নিয়ে টেকনাফ ও উখিয়ার সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা ৩১৯ জন রোহিঙ্গাকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হলো।
সোমবার পুলিশ তাদের আটকের পর বিজিবির কাছে হস্তান্তর করলে বিজিবি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠায়।
উখিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবুল খায়ের জানান, রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশে গোপনে নিয়ে আসার অভিযোগে দুই দালালকেও আটক করেছেন তারা। তিনি জানান, কুতুপালং এলাকার জাকির হোসেন ও আনোয়ার ইসলাম নামে এই দুই দালাল রোহিঙ্গাদেরকে নিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় তিনটি জিপও জব্দ করা হয়।
পুলিশ ও বিজিবি জানায়, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধে সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি রয়েছে। তবে নাফ নদীর তীরে শত শত রোহিঙ্গা অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের।
গত বুধবার রাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলা এবং পাল্টা আক্রমণে প্রায় ৯০ জন নিহতের পর নতুন করে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।
মুসলিম রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমার নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না। তাদের দাবি, এই জনগোষ্ঠী বাংলাদেশ থেকে গিয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। ৭০ দশকের শেষ দিকে এই জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্ব বাতিল করে দেশটি। এরপর থেকে নানা সময় রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে আসছে সেনাবাহিনী। এ নিয়ে বিশ্ব সমালোচনায় মুখর হলেও দেশটির নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না।
সাম্প্রতিক সহিংসতার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিকে গুলি করছে বলে জানিয়েছেন পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা। এমনকি তাদের গায়ে আগুনও দেয়া হচ্ছে।
তবে বিজিবি প্রধান আবুল হোসেন মিয়ানমারকে সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশ সীমানায় একটি গুলি পড়লে পাল্টা জবাব দেয়া হবে।
Post A Comment: